সুইজারল্যান্ড সফরে প্রধান উপদেষ্টা
- আপলোড সময় : ২১-০১-২০২৫ ০৫:১৪:০৮ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০১-২০২৫ ০৫:১৪:০৮ অপরাহ্ন
সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুইজারল্যান্ডে যাচ্ছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত একটায় জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। চার দিনের সফর শেষে ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরবেন। গত রোববার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন। এর মধ্যে জার্মানির চ্যান্সেলর, ফিনল্যান্ডের চ্যান্সেলর, বেলজিয়ামের রাজা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। এই চারজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলনে এবার ‘বাংলাদেশ বিষয়ক’ আলাদা সংলাপ হবে। বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিনিধি বা ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ, বেশ কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এই সংলাপে যোগ দেবেন। এই সংলাপ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বিরল সুযোগ। উন্নত দেশগুলোই এমন ফোরামে এ ধরনের সংলাপের সুযোগ পায়। বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো এই বিরল সুযোগ পেয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে ‘আত্মবিশ্বাসী’ করতে প্রধান উপদেষ্টার এই সফর সহায়ক হবে বলে উল্লেখ করেন আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে থাকবে। নিকট অতীতেও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও বিনিয়োগকারীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যখন দেখা করেছিলেন, তখনো তাঁদের প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান ছিল। আন্তর্জাতিক এই ফোরামেও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান থাকবে, বাংলাদেশে আসুন। বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ সহজ করা হচ্ছে। বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নততর হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রগতিতে শামিল হোন। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে কীভাবে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হয়- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিনিয়োগের বিষয়টি শুধু গ্যাসের দামের ওপর নির্ভর করে না। এটা ব্যাপক বিষয়। এখানে আরও অনেক বিষয় জড়িত। সবগুলো বিষয় বিনিয়োগকারীদের কাছে ব্যাখ্যা করা হবে। কাউকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বিনিয়োগে জোর করা হবে না। বাংলাদেশ সরকার তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানাবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে, এটা যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করা হবে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ